নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে উঠছে কমিউনিটি বীজতলা। আর এ জন্য কৃষকরা বর্তমানে বোরো চাষের জন্য কমিউনিটি বীজতলা পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই বীজতলার চারা জমিতে রোপন করতে কৃষকদের সময় ও খরচ কম লাগছে। চলতি বোরো মৌসুমে এই কমিউনিটি বীজতলার চারা জমিতে রোপন করে অধিক ফলন পাওয়ার আশা করছেন স্থানীয়  কৃষকরা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অদিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নওগাঁ জেলায় ১রাখ ৮৪হাজার ৬৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এজন্য বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ৯হাজার ১২৩ হেক্টর নির্ধারন করা হলেও বীজতলা তৈরী করা হয়েছে, ৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে।

এর মধ্যে রাণীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৪শ’ ২৫হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখিত পরিমান জমিতে বোরো আবাদের জন্য উপজেলায় মোট ৯শ’ ২৫হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে আদর্শ কমিউনিটি বীজতলা করা হয়েছে ৫শ’ হেক্টর জমিতে।

এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি আদর্শ বোরো কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় ১২০টি সিআইজির (কমন ইন্টারেষ্ট গ্রুপ) মধ্যে খট্টেশ্বর রাণীনগর, পারইল, ছয়বাড়িয়া, একডালা, এনায়েতপুর, কুজাইল, বেতগাড়ীসহ মোট ১৮টি ফসল সমবায় কৃষক গ্রুপকে বাছাই করা হয়েছে। এরপর এসব গ্রুপকে কমিউনিটি বীজতলা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় এই কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। কৃষকরা প্রাচীন যে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করতেন, তাতে যেমন বীজ বেশি লাগতো, তেমনি এতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণও বেশি হতো। কিন্তু কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করায় ৫০-৬০ শতাংশ বীজ কম লাগে এবং চারাগুলো স্বাস্থ্যবান, সবল, সতেজ ও রোগমুক্ত হয়।

তিনি আরো বলেন, এই পদ্ধতিতে অল্প বয়সের চারা জমিতে রোপন করা যায়। এতে চারার কুশির সংখ্যা বেশি থাকে এবং ধানের উৎপাদন বেশি হয়। সব মিলিয়ে এই ধরনের উদ্যোগ উপজেলার কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে। আশা করা যায় আগামী বছরগুলোতে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। আরো বেশি কৃষক এই পদ্ধতি অনুসরন করবেন।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮)