নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সালিশে সাদা কাগজে উপস্থিতির স্বাক্ষর নিয়ে পরে নিজেদের ইচ্ছেমতো তথ্য লিখে পিরপালের জমি জালিয়াতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপায় না পেয়ে ওই পিরপালের জমির জিম্মাদার উপজেলার টং গ্রামের মোঃ সাদেক আলী আকন্দের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, একডালা ইউনিয়নের টং গ্রামের মোঃ সাদেক আলী আকন্দের বাবা মৃত মহরম আলী আকন্দ টং গ্রামের পিরপালের ১একর ৯২ শতাংশ জমির জিম্মাদার ছিলেন। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে সাদেক আলী আকন্দ দীর্ঘদিন যাবৎ এই জমি গুলোর দেখভাল করে আসছিলেন। হটাৎ করে বিএনপি সমর্থিত একই গ্রামের আলহাজ্ব রওশন আলী আকন্দের ছেলে মোঃ মতিউর রহমান আকন্দসহ গ্রামের আরো কয়েকজন বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তিরা ওই পীরপালের জমির জিম্মাদার সাদেক আলী আকন্দের কাছ থেকে মুক্ত করে নেয়ার জন্য একডালা ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান করার জন্য সম্প্রতি বাদী-বিবাদী উপস্থিত হলে পরিষদের চেয়াম্যানের মোঃ রেজাউল ইসলাম ও সচিব মোঃ আব্দুল হাকিম সাদা কাগজে কৌশল করে উভয় পক্ষের উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু বিষয়টি সেই দিন সমাধান না হওয়ায় চেয়ারম্যান পরবর্তিতে বিষয়টি সমাধান করার জন্য পরবর্তি বৈঠকের সম্ভাব্য দিন তারিখ জানানো হবে বলে উভয়পক্ষকে জানিয়ে দেন।
কিন্তু পরবর্তিতে আর কোন বৈঠক না করেই উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়া সাদা কাগজের ওপরে বিএনপি সমর্থিত মতিউর রহমান আকন্দের পক্ষে পিরপালের জমির একতরফা রায় প্রদান করেন চেয়ারম্যান।

পীরপালের এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির জিম্মাদার ও গ্রামের অপরপক্ষ বিএনপি সমর্থিত কতিপয় ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে কিছুদিন পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে কতিপয় ব্যক্তিরা পিরপালের জমিতে থাকা বাঁশ ও অন্যান্য গাছ ও পিরপালের পুকুর থেকে জোর করে মাছ তুলে বিক্রি করে ভুড়িভোজেরও আয়োজন করে। এর কিছু দিন পর জমির বর্তমান জিম্মাদারের পরিবারকে এক ঘরে করে রাখা হয় চেয়ারম্যানের মদদে। ও

ই পরিবারকে এক ঘরে রাখার সংবাদটি জাতীয়সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। প্রশাসন বিষয়টি নিজে সমাধান করে বলেন পরবর্তীতে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে পিরপালের জমি গুলোর সমস্যা সমাধান করা হবে।

বিষয়টি প্রশাসন দুইপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিতির স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতির এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮)