স্টাফ রিপোর্টার : গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করা ও একজন ফেরারি আসামী তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ায় বিএনপিতে ভাঙনের সুর বেজে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সিদ্ধান্ত দলের বর্ষিয়ান নেতারাও মেনে নিতে পারছে না বলে দাবি করেন তিনি।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না’শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মধ্যে যারা দুর্নীতি পচ্ছন্দ করেন না তারা তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না। তারেক জিয়ার ন্যায় একজন দুর্নীতিবাজকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে বিএনপি দলে ভাঙনের পেরেক পুঁতে দিয়েছে। বিএনপিকে ভাঙতে সরকার কোনো ধরনের চেষ্টা চালাবে না। তাদের নিজেদের কারণেই এখন দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

এই মুহূর্তে দলকে রক্ষা ও অন্তিম সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না তা নির্ভর করে আদালত ও নির্বাচন কমিশনের ওপর।

তিনি বলেন, এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা কোনো সহায়ক সরকার গঠন করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা হবে। আমরা সে নির্বাচন বিএনপিসহ দেশের কোনো নিবন্ধিত দলকে বাইরে রেখে করতে চাই না। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে। দেশের মানুষ কোনো দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় বসাতে চায় না।

বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ মিলে সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আর এখন তারেক জিয়া বিদেশে বসে নানাভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের সুনাম নষ্ট করছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮)