কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল সরকারি ঘোষণার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে পূর্বের তারিখ বসিয়ে নিজ ছেলে ও মেয়েসহ নিকট আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমন বলেন, দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সে সময় প্রধান শিক্ষক মো. ফরাত আলীর ছেলে বা মেয়ে এমনকি তার নিকট কোনো আত্মীয়কে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হওয়া যাচ্ছে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল সরকারি ঘোষণার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী ‘আমার’ তৎকালীন সভাপতি মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের স্বাক্ষর জাল করে তার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স এবং মেয়ে ফারহানা নাজমুন বীথিসহ নিকট আত্মীয়দের খন্ডকালীন
শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ভুয়া কাগজপত্র সম্পন্ন করেছেন। যা সরকারি বিধি বহির্ভূত ও দন্ডনীয় অপরাধ।

ছাদিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির আশ্রয় থেকে বিরত থাকাসহ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে নেয়া একান্ত জরুরী এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

(কেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮)