মাগুরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলের সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চান সকল রাজনৈতিক দলের  অংশ গ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরেপেক্ষ নির্বাচন। যাতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়তসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে যড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় টিকে থাকবে না। বিএনপি ভেবেছিল ২০১৪ সালের নির্বাচনে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে। কিন্ত জনগণ তাদের প্রতাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণও তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরা নোমানী ময়দানে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জীয়ার বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামীলীগও দেয় নাই সরকারও দেয় নাই, এই মামলা দিয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আইন তার নিজ গতিতে চলেছে। এ কারণে দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর রায় হয়েছে। উপরন্ত আদালত তার বয়স বিবেচনা করে ১০ বছরের সাজা কমিয়ে ৫ বছরের সাজা দিয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে সরকার কোন প্রকার প্রভাব বিস্তার করেনি উল্লেখ করে তিনি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মাগুরা-১ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অবঃ) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব, মাগুরা-২ আসনের এমপি ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড.বীরেন শিকদার, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি, প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুস্তম আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অফম আব্দুল ফাত্তাহ, মুন্সি রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু প্রমুখ।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮)