ময়মনসিয়হ প্রতিনিধি : আরসি কোলা ভেবে এসিড পানে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে ময়মনসিংহের তৃপ্তি রানী দেবনাথ (২৫) নামের এক তরুণী।

ময়মনসিংহের নকলা এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে শনিবার সকালে আরসি কোলা ভেবে এসিড পান করে দগ্ধ হন তৃপ্তি রানী নামের এই তরুণী।

তৃপ্তি রানী দেবনাথের বড় বোন নিলু রানী দেবনাথ বলেন, আমি, তৃপ্তি ও আমার ছোট বোন পপি রানী কয়েকদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসি। বাবা পরিতোষ দেবনাথ এজন স্বর্ণকার।

তিনি স্বর্ণ পরিষ্কার করার কাজে একটি আরসি কোলার বোতলে এসিড রেখেছিলেন। শনিবার সকাল নয়টার দিকে আমার মেঝোবোন তৃপ্তি আরসি কোলা ভেবে ওই বোতলে রাখা এসিড মুখে ঢেলে দেন। মুখে দেয়ার পর তাঁর চিৎকারে গোটা এলকার মানুষ জড়ো হয়।

পরে প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের খানপাড়া এলাকায় গত শনিবার সন্ধ্যায় দূর্বত্তদের ছোড়া এসিডে দগ্ধ হয়েছেন তৈয়ব খাঁন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। তৈয়ব খানের ছোট ভাই ওমর আলী খাঁন জানান, আমার বড় ভাই স্থানীয় একটি মিলে কাজ করে। গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সে আমাদের এলাকায় আর্জেন্টিনার খেলা দেখছিল। ওই সময়ে কয়েকজন দুর্বত্ত তাকে লক্ষ করে এসিড ছুড়ে মারে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানের তার অবস্থাও আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল। দগ্ধ তৈয়ব খান নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার খানপুর গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার খানের ছেলে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ০৬, ২০১৪)