সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ১০ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে তার এক সহপাঠী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলীর বকচরা বাইপাস সড়কে ভ্যান চালক রমজান আলীর বাড়ির পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের এক সহপাঠীসহ সাতজনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করেছে।

নিহতের নাম সাকিব হোসেন (১৬)। সে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্র ও পলাশপোল মেহেদীবাগে বসবাসরত কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সিপাহী নজরুল ইসলামের ছেলে।

আটককৃরা হলো, শহরের কামাননগরের হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদি হাসান ফয়সল (১৫) , শামীমুজ্জামান অমি (১৪) ,যুবায়ের হোসেন (১৮), রনি (১৮), শাহিনুর (২৪) ও ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮) ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহরের রসুলপুরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রাশেদ জানান, সেসহ তার দু’সহপাঠী অমি ও সাকিব মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বকচরা আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ইছালে সওয়াব শুনতে যায়। সেখানে একটি স্টলে খাবার কেনা নিয়ে তাদেরই পরিচিত কামাননগর কলোনীর আব্দুল কাদের ও শান্তর সঙ্গে তারা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলেও স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেনে। রাত ১০টার দিকে সে , সাকিব ও অমি বাড়ি ফেরার পথে বাইপাস সড়কের বাসিন্দা ভ্যানচলক রমজানের বাড়ির কাছে পৌঁছানো মাত্র পিছন দিক থেকে কাদের ও শান্তসহ কয়েকজন তাদের উপর গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে।

হামলার একপর্যায়ে অমি পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা গুরুতর জখম তাকেও সাকিবকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাকিবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ হাফিজুল্লাহ জানান, ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত লাগার ফলে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। তবে রাশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল হক জানান, সাংবাদিক আমিরুজ্জামান বাবুর ছেলে অমিসহ জিজ্ঞাসাবদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)