স্টাফ রিপোর্টার : পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের অনুলিপি আনতে আজ বিশেষ জজ আদালত-৫ এ যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

গত বৃহস্পতিবার এই রায়ের পর থেকে আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিলেও রায়ের অনুলিপি না পেয়ে সে আবেদন করতে পারছেন না। আপিল আবেদনের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদনও করা হবে।

বৃহস্পতিবার রায়ের দিনই অনুলিপি যোগাড়ের চেষ্টা করেছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু তারা পাননি। এ কারণে রবিবার আপিল করার কথা থাকলেও তা করা যায়নি।

সোমবার অনুলিপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠা কোর্টফোলিও স্ট্যাম্প আদালতে দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এই রায়টি ৬৩২ পৃষ্ঠার। রায়ের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, এক বড় রায়ের অনুলিপি এক দুই এক দিনে পাওয়া কঠিন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, মঙ্গলবার আদালত থেকে তাদের বলা হয়েছে যে, বুধবার তাদের রায়ের অনুলিপি দেওয়া হবে। তাই আজ দুপুরে তারা অনুলিপি আনতে আদালতে যাবেন।

সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমরা আশা করছি আজকেই অনুলিপি পাব এবং বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল দাখিল করব।’

রায়ের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলাটির এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের জেরা ও জবানবন্দিসহ অনুসঙ্গিক আদেশ সমূহের অনুলিপিও চাওয়া হয়েছে।

রায় ছাড়া অন্য সব অনুলিপি তৈরির কাজ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এখন শুরু রায়ের অনুলিপি তৈরির কাজ বাকি আছে। যা বিচারকের কাছ থেকে পাওয়ার পর যদি কোন সংশোধন থাকে তবে তা সংশোধন করে প্রিন্ট দেওয়া শুরু হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামি ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া তাদেরকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা করে জরিমানা করা হয়।

দণ্ডিত অপর চার আসামি হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

দণ্ডিতদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)