স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের অনুলিপি আজও পাননি বিএনপির আইনজীবীরা। বুধবার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে এই রায়ের অনুলিপি দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেয়নি। আগামীকাল এই অনুলিপি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘আমরা রায়ের কপির জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে রায়ের কপি দেয়া হয়নি। পেসকার জানিয়েছেন, আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিচারক মূল রায়টা ছেড়েছেন। এই রায়ের একটি কপি আমাদেরকে দেয়া হবে। এটি আগামীকাল পাওয়া যাবে।’

গত বৃহস্পতিবার এই রায়ের পর থেকে আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রায়ের অনুলিপি না পেয়ে সে আবেদন করতে পারছেন না। আপিল আবেদনের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদনও করা হবে।

বৃহস্পতিবার রায়ের দিনই অনুলিপি যোগাড়ের চেষ্টা করেছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু তারা পাননি। এ কারণে রবিবার আপিল করার কথা থাকলেও তা করা যায়নি।

সোমবার অনুলিপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠা কোর্টফোলিও স্ট্যাম্প আদালতে দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এই রায়টি ৬৩২ পৃষ্ঠার। রায়ের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, এক বড় রায়ের অনুলিপি এক দুই এক দিনে পাওয়া কঠিন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, মঙ্গলবার আদালত থেকে তাদের বলা হয়েছে যে, বুধবার তাদের রায়ের অনুলিপি দেওয়া হবে। তাই আজ দুপুরে তারা অনুলিপি আনতে আদালতে যান।

রায়ের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলাটির এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের জেরা ও জবানবন্দিসহ অনুসঙ্গিক আদেশসমূহের অনুলিপিও চাওয়া হয়েছে।

রায় ছাড়া অন্য সব অনুলিপি তৈরির কাজ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এখন শুধু রায়ের অনুলিপি তৈরির কাজ বাকি আছে। যা বিচারকের কাছ থেকে পাওয়ার পর কোনো সংশোধন থাকলে তা সংশোধন করে প্রিন্ট দেওয়া শুরু হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামি ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া তাদেরকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা করে জরিমানা করা হয়।

দণ্ডিত অপর চার আসামি হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

দণ্ডিতদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)