স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : পান মানুষের কাছে অতিপরিচিত একটি নাম। যে কনো খাবারের পরে পান না খেলে মানুষ যেনো অসস্তিতে ভোগে। সখের বশবর্তি হয়েও অনেকে পান খায়। গ্রমের যে কোনো বাড়ীতে বেড়াতে গেলেও অতিথিকে কমপক্ষে পান খেতে দেওয়া হয়। দিনাজপুরে সেই পানের বাজারে হঠাৎ এক সপ্তাহ ধরে যেনো আগুন লেগেছে এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা । ছোট ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ১শত ৫০টাকা শ’দরে (৬০টি পান)। একটু ভালো পান বিক্রয় হচ্ছে ২শত টাকা শ’দরে আর বড় বড় পান বিক্রয় হচ্ছে ৩শত টাকা শ’ দরে ।

সরেজমিনে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পান দোকান গুলোতে ছোটো পানের খিলি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে। অনেকে আবার পানের দাম বৃদ্ধিতে খিলিপান বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।

বাহাদুর বাজারের পাইকাড়ী পান ব্যাবসায়ী ওয়াকিল ও শমসের জানান আগে যে পান ৬০টাকা বিড়া (৬০)শদরে ছিল এখন তা দাম বেড়ে ২৫০টাকা, ১০-১৫ টাকার পান ৫০-৭০টাকা, ৩০-৪০টাকার পান ৮০-৯০টাকা হয়েছে। রাজশাহী, বিরামপুর, ভেড়ামারা, চুয়াডাঙ্গা থেকে সচারাচর পান আমদানী হয়ে থাকে। তবে প্রকৃতিক কারনে ঘনকুয়াশায় পানের বরজে ছত্রাকের আক্রমন বেশী হওয়ায় পান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে কারনে মোকামেই পানের মুল্য অনেক বেশী। তাই বেশী দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।

ফুলবাড়ী উপজেলার চৌধুরী মোড়ের খুচরা পান বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন গত এক সপ্তাহ ধরে পানের দাম প্রতি শয়ে দ্বিগুণ মুল্য হয়েছে। সে কারনে খিলি পান পাঁচ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। যা আগে আমরা তিন টাকায় বিক্রি করেছি।

আরো বলেন, পানের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে খিলি পান বিক্রি কমে গেছে এতে অনেক খিলি পানের দোকান বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

ফুলবাড়ী হাজীর মোড়ের মোতালেব হোসেন বলেন, তিনি প্রতিদিন ৩০-৩৫ খিলি পান খান কিন্তুু বর্তমানে পানের মুল্য বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলোনায় কম খাচ্ছেন।

একই কথা বলেন, বিরল উপজেলা পৌর শহরের আব্দুল কুদ্দুস।

(এসএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮)