লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দ্বিতীয় স্ত্রীর লালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে মোবারক হোসেন রাজু (৩৫) নামের এক অটোরিক্সা চালক রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়াও ওই সন্ত্রাসীরা লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল, দালাল বাজার দিঘির পাড় ও পাটোয়ারী রাস্তার মাথা নামক স্থানে তিন দফা হামলা চালিয়ে তাকে অপহরনের চেষ্টা চালায়।

তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের রাম দাসেরবাগ গ্রামের মৃত ছলেমান মিজির ছেলে।

এঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

পুলিশ হেফাজতে থাকা মোবারক হোসেন রাজু জানান, তিনি প্রায় আট বছর আগে ফাঁদে পড়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের মেয়ে শাহিন আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে লক্ষ্মীপুর শহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন।। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েকদিন পরই বুঝতে পারেন শাহীন খারাপ স্বভাবের। প্রতিদিন কারনে অকারনে স্বামীকে না জানিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। স্বামীর কোন বিধি নিষেধই শাহীন মানত না। মোবারক হোসেন এসবের প্রতিবাদ করাতে শাহীন তার লালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর নতুন বাস টার্মিনাল, দালাল বাজার ও পাটোয়ারী রাস্তার মাথা নামক স্থানে হামলা চালিয়ে অপহরনের চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ওইরাতে একটি মসজিদে রাত যাপন শেষে রবিবার সকালে রায়পুর থানা পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয় মোবারক।

খবর পেয়ে দুপুরে মোবারকের প্রথম স্ত্রী ভোলা জেলা সদরের শিবপুর গ্রামের মৃত হাদিছুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে শাহিন আক্তারসহ ২জনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় রাধারণ ডায়েরী করেন।

এ ঘটনায় যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত শাহীন আক্তার (২৫) কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক বলেন, ভীত সন্ত্রস্ত্র মোবারক থানায় এসে আশ্রয় চাইলে আমরা তাকে নিরাপদ হেফাজতে নেই। পরে তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম এসে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

(পিকেআর/এটিআর/জুলাই ০৬, ২০১৪)