ফরিদপুর প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার, পল্লী ‍উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা ভেঙে প্রস্তাবিত নতুন বিভাগের নাম হবে পদ্মা। আর এর হেড কোয়ার্টার হবে ফরিদপুরে। এই বিভাগ হলে ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষকে কোনো কাজের জন্যে আর ঢাকায় যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

শুক্রবার ফরিদপুরের বদরপুরে আফসানা মঞ্জিলে সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান ও তিন ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিতদের মধ্যে অনুদান বিতরণকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের দাবি জানিয়ে আসছেন। সবশেষ গত বছরের ২৯ মার্চ ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফরিদপুরকে বিভাগ করার দাবি তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী তখন বিভাগের ঘোষণা না দিয়ে বলেন, ঢাকা বিভাগকে ভেঙে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর নিয়ে একটি বিভাগ করা হবে। তবে বিভাগীয় সদরদপ্তর কোথায় হবে তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ঢাকা বিভাগকে ছোট করা হবে এবং দেশে বিভাগের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা বাড়বে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশে বর্তমানে বিভাগের সংখ্যা আটটি। সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে নতুন ময়মনসিংহ বিভাগ গঠন করা হয়। ঢাকা বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা নিয়ে ফরিদপুর বিভাগ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ হওয়ায় ঢাকা বিভাগের জেলা সংখ্যা এখন ১৩টি। তবে এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ ঢাকা।

অনুদান বিতরণকালে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজেশন করতে ল্যাপটপ বিতরণ করা হচ্ছে।’ দেশ ডিজিটাল হলে দুর্নীতি কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহানের সভাপতিত্বে এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিব পদ দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলার ৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি ল্যাপটপ ও নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের নদীভাঙ্গন কবলিত ৬১ জনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেন মন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮)