মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে কয়েক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম অস্থিরতা বিরাজ করছে পানের বাজারে। ঐতিহ্যগত ভাবে মৌলভীবাজার সহ পুরো সিলেট অঞ্চলে পানের চাহিদা একটু বেশি থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দাম বাড়ার কারনে অসন্তুশ বিড়াজ করছে কয়েকদিন যাবত।

রবিবার দুপুরে সরেজমিন জেলা শহরের পানের পাইকারী আরৎ ও খুজরা বাজারে গিয়ে দেখা যায় হটাৎ করে পানের বাজারে একলাফে কয়েকগুন বেড়েছে দাম। এক সাপ্তাহ পূর্বে যেখানে বরিশালী পান খুচরা বাজারে বিরা প্রতি বিক্রি হত ৩০-৩৫ টাকায়, সেখানে সাপ্তাহ ঘুরতেই একলাফে বেড়ে যায় কয়েক গুন দাম। বর্তমানে বরিশালী পান খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিরা প্রতি ১২০-১৫০ টাকায়। পানের বাজারে হটাৎ করে এই অরাজকতার কারনে অতিরিক্র প্রভাব পরেছে খুচরা পানের দোকান গুলোতে, দাম বাড়ার অজুহাতে সেখানে ৫টাকার খিলি পান বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত।

এই বাড়তি দামের কারনে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে দোকানীদের বাকবিতন্ডা তৈরি হচ্ছে মাঝে মধ্যে। তব্ খাসিয়া পানের দাম একটু সহনিয় পর্যায়ে থাকায় অনেকে বরিশালী পান বাদ দিয়ে খেতে কষ্ট হলেও খাসিয়া পান ক্রয় করছেন বাজার থেকে।

এদিকে দাম বেড়েছে বাংলা পানেও, বাংলা ও বরিশালী পানে দাম বাড়ার কারনে উৎপাদন কম হলেও আমদানী বেড়েছে রাজশাহী পানের। পানের আরৎগুলোতে দেখা যায় মজুতদাররা প্রচুর পরিমানে রাজশাহী পানের স্থুপ তৈরি করে মজুত রাখছেন আরতে।

শহরের পশ্চিমবাজারের খুচরা পান ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাশ বলেন, সাইক্লোন ও আবহাওয়াজনিত কারনে এবছর রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ায় পানের খেত নষ্ট হয়ে জ্বলে গেছে, যার কারনে পানের উৎপাদন কম থাকায় বাড়তি দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ব্যবসায়ী আরো জানান, প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম থাকায় পানের দাম বাড়লেও এরকম দাম কখনো বাড়েনি। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলে পানের বাজার সাভাবিক হবার সম্ভাবনা আছে।

অপরদিকে মৌলভীবাজার শহরের লোকনাথ পানের পাইকারী আরৎ এর স্বত্তাধিকারী বিমল মল্লিক এ প্রদিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, পানের দাম বাড়ার কারন হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়া । তিনি বলেন, উৎপাদন কম হলেও বর্তমানে বাজারে সব জাতের পানের সরর্বরাহ সাভাবিক আছে।
তবে সাধারণ ক্রেতারা হটাৎ করে পানের দাম বাড়ার পিছনের কারন হিসেবে দায়ী করছেন সিন্ডিকেট ।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)