নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেরার কৃষ্ণপুর গ্রামের গৃহবধূ পারুল আখতারকে মুখমন্ডলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্ত্রীর অজান্তে গ্রামের অণ্য এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় ঘাতক স্বামী নাসির উদ্দিন তাকে হত্যা করে। ঘাতক স্বামী নাসির উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রইচ উদ্দিন হাজারী প্রতিবেদককে জানান, গৃহবধূ পারুল আখতারের মৃত্যু নিয়ে জনমনে রহস্য সৃষ্টি হয়। তার পিতা ও স্বামীর পরিবারের লোকজন দফায়-দফায় আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে তার স্বামী নাসির উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নাসির আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়ায় গ্রহবধু পারুল আখতার খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে উক্ত কৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে নাসির উদ্দীন নান্নু (৩৮) ও তার স্ত্রী পারুল আখতার (৩২) রাতের খাবার শেষে তাদের ১২ বছরের একমাত্র কন্যা নুসরাত জাহান নদীকে পাশের দাদীর বাড়িতে রেখে এসে স্বামী-স্ত্রী দুজনে একই ঘড়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে নাসির উদ্দীন নান্নু ঘুম থেকে উঠে, হঠাৎ তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারাগেছে বলে প্রতিবেশী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজনকে খবর পাঠায়।

নাসির উদ্দীন নান্নুর কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় পারুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পিতার বাড়ির লোকজন।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)