আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ১২ যোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে সাজা দিয়েছেন ইরাকের একটি আদালত। এদের মধ্যে এক তুর্কি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

১২ জন জঙ্গিপত্নীর মধ্যে ১ জন আজারবাইজানের নাগরিক এবং বাকি ১১ জন তুর্কি নাগরিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বাগদাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে এসব নারীদের অধিকাংশকেই তাদের স্বামীরা জোর করে ইরাক বা সিরিয়ায় জেহাদী কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত এসব নারীদের বয়স ২০ থেকে ৫০য়ের মধ্যে। তাদের ইরাকের মসুল এবং তাল আফার শহর থেকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে ইরাকি বাহিনীর হাতে এসব নারীদের আইএস স্বামীরা নিহত হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো আইএসের হাত থেকে পুনঃরুদ্ধার করেছে ইরাকি বাহিনী।

সাজাপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে একজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে কারণ তিনি জানিয়েছেন যে, নিজের ইচ্ছাতেই স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে ইরাকে গিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী তুরস্কের একজন ওয়ান্টেড আসামী ছিলেন। তাই আমাদের তুরস্ক ছাড়তে হয়েছিল। আমি ইরাকে ইসলামিক স্টেটের শরীয়াহ আইনের মধ্যে বসবাস করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি দেখলেন পরিস্থিতি পুরোটাই আলাদা। সেখানে বিমান হামলায় তার স্বামী এবং সন্তানরা নিহত হন। আদালতে বিচারের সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮)