স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখতে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বুমেরাং হওয়ায় সরকার এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উসকানি দিচ্ছে। তাদের বিভিন্ন পর্যায় থেকে একথাও বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি যদি এতো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে আন্দোলন করছে না কেন?

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামক একটি সংগঠন।

সরকার ও সরকারদলের দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘উসকানি যতই দিন কোনো কাজ হবে না। আপনাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। কারণ খালেদা জিয়া ও বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্যের সুযোগ নেই। গণতন্ত্রের অপর নাম খালেদা জিয়া। তাছাড়া বিএনপি কী পাগল হয়েছে যে, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে। আপনারা যদি এমনটা ভেবে ভালো করে ঘুমাতে চান তাহলে ঘুমাতে পারেন। ভবিষ্যতে বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা বিএনপিকেই ভাবতে দেন।’

মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া টাকা মেরে খেয়েছেন। অথচ মামলায় তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, অরফানেজ ট্রাস্টে জমাকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়নি বরং জমাকৃত টাকা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো, খালেদা জিয়া কোথা থেকে টাকা মেরে খেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি কী করে মিথ্যা-বানোয়াট কথা বলেন যে, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮)