স্টাফ রিপোর্টার : আমেরিকান নোবেল বিজয়ী মার্টিন শেলফি বলেছেন, বই পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে অনেকের। কিন্তু বই পড়ার বিকল্প নেই। বই পড়ায় আগ্রহী হতে হবে। বইয়ে সব সমস্যার সুড়ঙ্গ খুঁজে পাবে। বই পড়ায় আগ্রহী করতে পাঠ্যবইগুলো আনন্দদায়ক করে তুলা প্রয়োজন। অন্যের পরামর্শ না শুনে বই পড়ে সমস্যার সমাধানও করা সম্ভব।

সোমবার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মার্টিন শেলফি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য সুযোগ-সুবিধাসহ পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এ কাজে সবসময় সফল হবে তাও নিশ্চিত নয়, অনেক সময় ব্যর্থ হতে হয়। এ কারণে অনেকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন না। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের তহবিল প্রয়োজন। এ তহবিল শুধু সরকারি পর্যায়ের থেকে সংস্থান হবে তা নয়, সরকারি-বেসরকারি যৌথভাবে অর্থ সংগ্রহ হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রশ্ন করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করে তুলতে হবে, যা গবেষণা কাজের জন্য অত্যাবশ্যক। এটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জানার আগ্রহ গড়ে তুলতে হবে।

বৈশ্বিক জলাবায়ুর পরিবর্তন প্রসঙ্গে এ নোবেল বিজয়ী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি কোনো প্রশ্ন নয়, এটি বাস্তবতা। আমি মনে করি, জলাবায়ু পরিবর্তন যেসব রাষ্ট্র ভূমিকা রাখছে, তা নিরসনের জন্য তাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। অনেক বিশেজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, জলাবায়ু নিরসনের জন্য উন্নত দেশগুলোকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মার্টিন শেলফি বলেন, একটা সময়ে মেধা পাচারের কথা শোনা যেত। কেন যেত, তার কারণ যেখানে অধিক সুযোগ-সুবিধা ছিল, সেখানেই মেধা পাচার হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থার বড় পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবাই শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারণে মেধা পাচার অনেক কমেছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সর্ম্পকে আমার ধারণা নেই। এখানে কী সিলেবাস, কারিকুলামের কী রিবর্তন দরকার, তা আমি খতিয়ে দেখিনি।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল আহমেদের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য জি ইউ আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আমেরিকান বিজ্ঞানী মার্টিন শেলফি ২০০৮ সালে রাসায়নে নোবেল পুরস্কার পান।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮)