স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে থাকা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শায়েস্তানগরে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান অলি, জেলা যুবদল নেতা বাদশা সিদ্দিকী, ছাত্রদল নেতা মহিবুর রহমান শাওন, যুবদল নেতা আবুল বাশার ইসা, হাজী মতিনের নাম জানা গেছে। তাদের সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আটকেরা হলেন পৌরসভার স্টাফ ফারুক আহমেদ, মজলিশপুর গ্রামের কাজল মিয়া। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে শহরের শায়েস্তানগরের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে বিএনপি নেতাকর্মী। কিন্তু পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র জি কে গউছ এবং সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। আহতদের মধ্য ৩০ জনের মতো গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছের দাবি, পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জে তাদের দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এতে মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গউছ আরও বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে লাটিচার্জ করে এবং গুলি ছোঁড়ে। তাছাড়া আমাকে বেআইনিভাবে ধরে টানাহেচড়া করে।

হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)