রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি’র কাপসণ্ডা গ্রামের কৃষক লীগের কাউন্সিলর বকুল ঢালীকে দেবহাটা থানার একটি নাশকতা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। 

অভিযোগ প্রতিপক্ষরা পুলিশকে ম্যানেজ করে এ মামলায় আসামি করিয়েছে।

কাপষণ্ডা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ সরদার জানান, তাদের গ্রামের কাবুল ঢালীর ছেলে বকুল ঢালী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে সে খাজরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের কাউন্সিলর। তবে তাদের ২০ বিঘা জমি একই গ্রামের আইয়ুব আলী সানার ছেলে জামায়াতের অর্থযোগানদাতা মঈনুল সানা ও একই গ্রামের গোপাল মোড়লের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কুদ্দুস মোড়লের নেতৃত্বে জবরদখল করে রাখা হয়েছে।

এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে। প্রতিপক্ষরা রাজাকার মোজাহারের ছেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের সহায়তায় বকুলদের বাড়িঘর ভেঙে চিংড়ি ঘের দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বকুলের পক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রমজান আলীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কয়েকজন অবস্থান নেওয়ায় তাদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বকুলকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে দেবহাটা থানায় উপপরিদর্শক আব্দুস সামাদের দায়েরকৃত জগন্নাথপুর গ্রামের তৈমুর সরদারের বাড়ির সামনে নির্মাণাধীন বাড়িতে গত ১০ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে দায়েরকৃত তিন নং মামলায় ২৩ নং আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এ মামলায় বকুলকে জড়ানোর জন্য প্রতিপক্ষ মঈনুল সানা ও কুদ্দুস মোড়ল ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও চেয়ারম্যান ও বকুলের প্রতিপক্ষরা তা অস্বীকার করেছেন।

তবে বকুল ঢালীর দাবি, পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।
জানতে চাইলে দেবহাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন জানান, তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত না হলে বকুলকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)