কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। 

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসেন কর্মসূচির মধ্যে ছিল, একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরনে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, সকাল ৮ টায় ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সকাল ১০টায় ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ১০টা ৩০ মিনিটে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, ধর্মীয় উপসনালয়ে শহিদদের আত্মার শান্তিকামনায় বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়।

কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২শ ৬৩ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১ম ও ২য় শ্রেণীর প্রতিযোগিদের মধ্যে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের ৪ চরণ এবং ৩য় ও ৫ম শ্রেণীর প্রতিযোগিদের মধ্যে জাতীয় সংগীতে প্রথম ১০ চরণ লিখে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার গ্রহণ করে।

শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াহাব, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো: বজলুর রহমান, নেত্রকোণা জেলা পরিষদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম, পৌরসভার মেয়র মো: আসাদুল হক ভূঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ।

ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন ভূঞার পরিচালনায় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়কারী জিয়াউর রহমান জীবন ও একক অভিনয় করেন রাখাল বিশ্বাস।

বেতার ও টিভি শিল্পি সুসেন সাহার পরিচানায় শহীদ মিনার পাদদেশে স্থানীয় শিল্পিরা ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: মহিউদ্দিন সরকার ও সাহিত্য সংসদের সভাপতি এডভোকেট আ.ক.ম. বজলুর রহমান তুলিপ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদের নেতৃত্বে এবারই প্রথম শহীদ মিনারের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে ভাষা শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ বলেন, আশা করি আগামী দিনে প্রতিটি জাতীয় দিবসের মর্যাদা সমুন্যত রেখে কেন্দুয়াবাসীর সকলকে নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে পালন করব। সভায় তিনি সর্বস্তরে বাংলা চালু করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮)