নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা ভূমিধস আর বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। 

সংস্থাটি বলছে, এসব শিবিরে বসবাসকারী প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ শরণার্থী বর্ষা মৌসুমে ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়তে পারে। এছাড়া শিবিরের দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্লাবিত হয়ে পড়লে ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর'র জেনেভা অফিসের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিস প্রাথমিক বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে বলেছেন, বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের কমপক্ষে এক লাখ মানুষ পাহাড় ধস ও মারাত্মক বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, রিচ এবং এশিয়ান ডিজাসটার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার যৌথভাবে এই ঝুঁকি বিশ্লেষণ করেছে।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ক্যাম্পের এক-তৃতীয়াংশ বসতি বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। ফলে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করা ৮৫ হাজারের বেশি শরণার্থী ঘরবাড়ি হারাতে পারে। আরো প্রায় ২৩ হাজার শরণার্থী ভূমিধসের বিপদে রয়েছে।

এছাড়া, মিয়ানমারের রাখাইনের শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও একই ধরণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮)