স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রশ্ন ফাঁস তদন্তে গঠন করা কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।

আলমগীর বলেন, ‘আমরা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত করেছি। রিপোর্ট প্রায় চূড়ান্ত। দুই একদিনের মধ্যেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেবো। সিদ্ধান্ত জানাবে মন্ত্রণালয়।’

প্রতিবেদনে কী পেয়েছেন-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আমরা কী পেয়েছি তা এখনই বলব না।’

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে প্রায় প্রতিটি বিষয়েরই এমসিকিউএর প্রশ্ন আগেভাগেই এসেছে সামাজিক মাধ্যমে।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ৫২টি মামলা করেছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল হবে। তবে সে কাজটি করা হয়নি এখনও।

প্রশান ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদন দিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মো. আলমগীরকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষামন্ত্রী। একই দিন প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন তিনি।

তবে প্রশ্ন ফেসবুকে ছড়ানোসহ নানা অভিযোগে পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমনকি ব্যাংকারও ধরা পড়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে যেসব গ্রুপে প্রশ্ন পাওয়া গেছে, তাদের একটির অ্যাডমিনকেও গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। তবে তারা কাদের মাধ্যমে প্রশ্ন পেতেন-সে তথ্য জানাতে পারেননি কথিত সেই অ্যাডমিনও।

যেসব প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সেগুলো পাওয়া গেছে পরীক্ষার আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা আগে। ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রশ্নগুলো ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে পাঠানোর সময় ছবি তুলে তা পাঠানো হয় ফেসবুকে আপ করার জন্য। তবে তাদেরকে শনাক্ত করা যায়নি।

আবার প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহার করা ৩০০টি মোবাইল সিম শনাক্ত করে সেগুলো ব্লক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আলমগীর।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকের পর কমিটির প্রধান একটি বিষয়ের পুরোপুরি এবং কয়েকটির বিষয়ের আংশিক প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮)