সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মান করার ফলে মাত্র ২০/২১ বছরেই টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়ছে ইট, সিমেন্ট ও বালি।  এতে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে কোন সময় ভবনটি ধ্বসে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

দুর্ঘটনায়র আশংকায় মূল ভবন ছেড়ে পাশের কক্ষে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিব। তবে মূল ভবনে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চালু হলেও এখন ঝুকিনিয়ে আর কাজ করতে আগ্রহী নয় কেউই।

কান্দিউড়া ইউনিয়ন নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: শহীদুল্লাহ কায়সার সোমবার জানান ১৯৯৬ সালে কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই ভবনটি নির্মান করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিন্ম মানের সামগ্রী ও কম পরিমাণ সিমেন্ট, বালি ও রড় দিয়ে ভবন নির্মান করায় মাত্র ২০/২১ বছরেরই ভবনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাঁদ থেকে খসে পড়ছে সিমেন্ট, বালি।

তিনি বলেন, ঝুকি এড়াতে মূল ভবনে বসে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহস পাচ্ছি না। ভবনটি ভেঙ্গে নির্মানের জন্য গত বছরের ৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কোন অগ্রগতী না হওয়ায় গত এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর আরেকটি আবেদন দেয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ থাকায় আমাদের স্বাভাবিক কাজ কর্মের অনেক বিঘ্ন ঘটে।

তিনি বলেন, ভবনটি জরুরী ভাবে নির্মানের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য মো: হারেছ মিয়া বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়ন কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ। এই পরিষদের ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুকিপুর্ণ থাকায় এই ভবনের সভাকক্ষে বসে বাল্য বিয়ে, জঙ্গি, মাদক, ইভটিজিং ও নাশকতা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সভা এখানে করা যায় না।

এতে ইউনিয়নের জনগণ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সচেতনতার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। তিনি ভবনটি নির্মানের জন্য জরুরীভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি, ২৬, ২০১৮)