স্টাফ রির্পোটার : দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অসংসদীয় আচরণ ও ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকার আহবান জানালেও কোনো রুলিং দেননি। এছাড়া সাবেক বিরোধী দলের সদস্যদের প্রসঙ্গে সরকারি দল এবং বর্তমান বিরোধী দলের সদস্যদের অসংসদীয় শব্দের ব্যবহারের প্রক্ষিতে স্পিকার অনেক সময় নীরব থেকেছেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত ‘পার্লামেন্টওয়াচ: দশম জাতীয় সংসদ প্রথম অধিবেশন’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা পর্বে একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অনির্ধারিত আলোচনা পর্বে অসংসদীয় ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করে প্রাক্তন বিরোধী দলের সমালোচনা প্রাধান্য পেয়েছে।

প্রতিবেদন পাঠ শেষে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান সংসদ ব্যতিক্রমী রুপ ধারণ করেছে। এ বিরোধী দলের মৌলিক চরিত্র নেই। বিরোধী দল বলে যে দলকে উপস্থাপন করা হচ্ছে তারাও এক ধরনের আত্মপরিচয় সংকটে ভুগছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দশম সংসদ অধিবেশনের গড় কোরাম সংকট ২৮ মিনিট। যার অর্থমূল্য ২১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। অষ্টম ও নবম সংসদ অধিবেশনে যথাক্রমে গড় কোরাম সংকট ছিল যথাক্রমে ৩৭ ও ৩২ মিনিট। অষ্টম থেকে দশম সংসদের প্রথম অধিবেশনের গড় কোরাম সংকট তুলনামূলকভাবে কিছুটা হ্রাস পেলেও এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করতে প্রতি মিনিটে ব্যয় হয় ৭৮ হাজার টাকা।

চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রতি কার্যদিবসে সদস্যদের গড় উপস্থিতির হার ৬৪ শতাংশ। নবম সংসদে যা ছিল ৬৮ শতাংশ।
(ওএস/এএস/জুলাই ০৭, ২০১৪)