চট্টগ্রাম : জিডি তদন্ত করতে এসে একটি বেসরকাির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে নগরীর পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। 

চট্টগ্রামের কিংস্টন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ড. মো.আশরাফুল আলম সজীব গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিএমপি কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত এই অভিযোগ করেছেন।

ড.সজীব অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে তার প্রতিষ্ঠান থেকে মো.মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া নামে একজন ছাত্র বিবিএ কোর্স সম্পন্ন করে কোর্স ফি বাবদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা না নিয়ে চলে যান। পাওনা টাকার জন্য বারবার তাগাদা দিয়ে তিনি ওই ছাত্রের রোষানলে পড়েন। মিথ্যা মামলা করে তাকে হয়রানি করেন।

এরপর গত বছরের ২ নভেম্বর মোসলেহ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, নগরীর হামজারবাগ এলাকায় মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা দুজন লোক এসে তাকে সজীবের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। না হলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পড়ে এসআই জাকিরের বিরুদ্ধে। তিনি দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণ হয়েছে দাবি করে গত ৩০ জানুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া জিডিকে অধর্তব্য মামলায় রূপান্তরের সুপারিশ করেন।

সজীব বলেন, জিডি তদন্তের সময় আমার এলাকা কক্সবাজারের পেকুয়ায় গিয়েও তদন্ত করেন এসআই জাকির। তবে কোন অভিযোগ পাননি। জিডিতে আনা অভিযোগেরও কোন সত্যতা না পেয়ে তিনি একদিন আমার অফিসে আসেন। আমাকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিলে অভিযোগ মিথ্যা হিসেবে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানান। আমি ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে এস,আই জাকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিশেষ ট্রেনিং নিতে গত ২ তারিখ থেকে তিনি টাঙ্গাইলে রয়েছেন।

জিডিতে ঘুষ দাবি ও তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ করতেই পারেন তবে তদন্তে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ সুত্রে জানা যায়, জিডির অভিযোগকারীর বাড়ি ও তদন্ত কর্মকর্তার বাড়ি একই জেলা কুমিল্লা বলে জানা যায়।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮)