স্টাফ রিপোর্টার : ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকদের সংগঠন করা, নিরাপত্তা, মজুরি বোর্ড এবং ইপিজেড শ্রম আদালত গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।

একই সঙ্গে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আইন ২০১৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে ভোটিংয়ের জন্য যাবে। ইপিজেডে কর্মকর্তা-শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সঙ্গে মিল রাখা হয়েছে। এর আগে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে আইন ছিল না। তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দুইটি দিক বিবেচনা করে এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উখাপন করে। আইনটিতে ১৬টি অধ্যায় রয়েছে এবং ২০৪টি ধারা রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি তফসিল রয়েছে।

সচিব বলেন, এ আইনে ইপিজেড শ্রমিকদের চাকরি, নিরাপত্তার, মজুরি বোর্ডে, ইপিজেড শ্রম আদালতসহ বিভিন্ন বিষয় আইনে রয়েছে। মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনটি করা হয়েছে। আইনটি উপনীত হলে আমাদের ইতিবাচক প্রভাব সবক্ষেত্রে বিস্তাব করবে।

ইপিজেড শ্রমিকরা চাইলে তারা সংগঠন করতে পারবে। তবে ইপিজেড আইনটির সঙ্গে শ্রম আইনের কোনো মিল নাই। শ্রমিকরা মালিকদের সাথে দাবি দাওয়া নিয়ে দর কষাকষি করতে পারবে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ০৭, ২০১৪)