আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহকারী ও হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হোপ হিকস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। হোপ হিকস সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন এবং দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন। তাকে ‘হোপস্টার’ নামে ডাকতেন ট্রাম্প। খবর বিবিসি।

ধারণা করা হয়, হোপ হিকস ট্রাম্পের যে কোনো সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতেন এবং অনেক সময় সেটি পাল্টাতেও পারতেন। হোপ হিকস বলছেন, হোয়াইট হাউস থেকে যা কিছু পাওয়ার, সবই তার পাওয়া হয়ে গেছে।

নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা হোপ হিকসকে হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর বা যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো গত বছরের সেপ্টেম্বরেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

২০১৫ সাল থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন ২৯ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারস বলেছেন হিকস কখন প্রশাসন থেকে বিদায় নেবেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। এর আগে মঙ্গলবারই হাউস ইন্টিলেজেন্স কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং সেখানে তিনি কখনো কখনো ট্রাম্পের পক্ষে নির্দোষ মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছেন।

তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে কোন অসত্য বলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সম্পর্ক বিষয়ে এই তদন্তে হোপ হিকস একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হয়।

কানেক্টিকাটের গ্রীনউইচের স্কুল এবং কলেজে খেলাধুলাতে বেশ নামডাক ছিল হোপ হিকসের। কিশোরী বয়স থেকেই তিনি মডেলিং শুরু করেন এবং একবার রালপ লরেনের মডেল হিসাবেও কাজ করেছেন।

আগে তিনি একটি বেসরকারি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। যে প্রতিষ্ঠানটি ইভাংকা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্রান্ড এবং ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোপার্টি ব্রান্ডগুলো দেখাশোনা করে। ২০১৪ সালে তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন। এর পরের বছরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে নির্বাচনী প্রচারণা দলে যুক্ত করেন। যদিও তার রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা ছিল না।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৮)