নিউইয়র্ক : মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইন-১ এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেটের ক্যাপ ক্যানভেরালে অবস্থিত স্পেস এক্স এর লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।

গতকাল ৩ মার্চ (নিউইয়র্ক সময়) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এ তথ্য জানান।

কন্স্যাল জেনারেল শামীম আহসানের পরিচালনায় সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বিআরটিসির সচিব মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, শামীম আহমেদ।

প্রধান অতিথি ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, স্পেস এক্স এর উৎক্ষেপণ যান বা রকেট ফ্যালকন-৯ এই স্যাটেলাইটটিকে মহাকাশে ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবস্থিত অরবিটল স্লটে স্থাপিত করবে। আর এর মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী ৫৭তম গর্বিত দেশ হিসাবে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। সমুদ্র জয়ের পর মহাকাশ বিজয়ের প্রথম সোপানে এই গৌরবজনক উত্তরণ জাতির অগ্রগতির ইতিহাসে অন্যতম মাইল ফলক ও স্মরণীয় ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, এই স্বপ্ন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। আর তার বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, এই বিশাল প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ ফ্রান্সের কান ও টুলুস কারখানায় ইতিমধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি উৎক্ষেপণের আগে ফ্রান্স থেকে বিশেষ কার্গো ব্যবস্থায় ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরাল নেয়া হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় বৃহৎ কাজ হলো লঞ্চ প্যাড থেকে ফ্যালকন-৯ রকেট দিয়ে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটি ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গাজিপুর জেলার জয়দেবপুরে প্রাইমারি এবং রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রে সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হচ্ছে ১৫৪৪ কোটি টাকা। বাকি ১৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফিন্যানসিং এর মাধ্যমে সংকুলান করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৮)