শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারনম্যান আওয়ামীলীগ নেতা একেএম ইসমাইল হকের উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগের অপর একটি অংশ।

রবিবার নড়িয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত স্থানীয় সাংসদ কর্নেল শওকত আলীর বাস ভবন সংলগ্ন মাজেদা হাসপাতালের সামনে ইসমাইল হকের উপর শতাধিক বিক্ষুদ্ধ যুবক রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে ইসমাইল হককে বহনকারি গাড়ির গতি রোধ করে তার উপর এ হামলা চালায়।

এ সময় সময় ইসমাইল হক তার ভোজেশ^রস্থ বাসভবন থেকে সরকারি গাড়িতে করে তার অফিসে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে মোট ৬ জন ব্যক্তি ছিলেন। এদের মধ্যে ইসমাইল হক, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সদস্য আলম বয়াতি, সাবেক যুবলীগ নেতা জলিল সরদার ও গাড়ি চালক জাকির হামলায় আহত হয়।

বিক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়িটিও ভাঙচুর করে। ঘটনার সময় টহলরত পুলিশ এসে হামলাকারিদের হাত থেকে ইসমাইল হককে উদ্ধার করে তার অফিসে পৌছে দেন। এরপর পূনরায় হামলাকারিরা মিছিল সহকারে ইসমাইল হকের অফিসে এসে ইটপাকেল ছুড়তে থাকে এবং নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ভাংচুর করে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন যাবৎ শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল শওকত আলীর সাথে ইসমাইল হকের স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ চলে আসছিল। ইসমাইল হক সদ্য অবসরে যাওয়া আইজিপি শহিদুল হকের ছোট ভাই হওয়ায় পুলিশি প্রভাবে ইতিপূর্বে শওকত আলী সমর্থকদের উপর ভিনিন্ন ধরনরে হামলা, নির্যাতন ও মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ করেছে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন। হামলার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

হামলার শিকার নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হক বলেন, সাংসদ শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলীর নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালায়।

তিনি জানান, প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। সামনে সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ দখলে রাখার জন্য আমার উপর হামলা করা হয়।

নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে, এখনও কোন মামলা হয়নি। ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(কেএনআই/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৮)