লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপি’র নিহত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলার কুমড়ী পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও পলাশ হত্যা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু। এ সময় কুমড়ী এলাকার সর্ব শ্রেণির মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুর রহমান হিলু বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে দিঘলিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ (৪৯) কে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ও নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫, তারিখ : ১৮/০২/২০১৮ ইং।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান পলাশ হত্যার পর ২০দিন অতিবাহিত হলেও চাঞ্চল্যকর এ মামলার কোন অগ্রগতি হয় নাই। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান ও তার ভাই শরীফ বাকী বিল্লাহকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এজাহার ভুক্ত অপর আসামীদের আটকের ক্ষেত্রে পুলিশ রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে কুমড়ী গ্রামে আসামী পক্ষের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা আসামীদের সাজানো নাটক বলে তিনি দাবি করেন। এই হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা নিজেরা নিজেদের বাড়ী নামমাত্র ভাংচুর করে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে।

তিনি দ্রুত পলাশ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিহত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শেখ তুহিন, সমাজসেবক কালাম শেখ, ইঞ্জিল শেখ ও রেখা খানম প্রমুখ।

(আরএম/এসপি/মার্চ ০৭, ২০১৮)