স্টাফ রিপোর্টার : গত ৭ মার্চ প্রকাশ্য রাস্তায় নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে দাবি করে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, রাস্তায় এতো এতো মানুষ ছিল, কেউ কেন এগিয়ে এলো না? অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা প্রতিরোধে অন্যদের এগিয়ে আসা উচিৎ ছিল। এ ঘটনায় অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই পার না পায়।

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অগ্রযাত্রায় অদম্য নারী’ শীর্ষক এক সেমিনার ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ভোরের কাগজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ৬ নারীকে সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা ফুরকান বেগম, ভাষাসংগ্রামী চেমন আরা, অর্থনীতিতে লুনা সামসুদ্দোহা, চিকিৎসায় প্রফেসার ডা: সাইবা আক্তার, ক্রীড়ায় জহোরা রহমান লিনু ও সাহসিকতায় সাহেদা সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকার সচেতন থাকলে চলবে না। সকল মানুষকেই সচেতন হতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা সকল ক্ষেত্রেই অবদান রেখে চলছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে। আমাদের প্রতিভা আছে, মেধা আছে, আমরা এগিয়ে যাবোই। এখন শুধু দেখি নারীদের অর্জন। সকল স্তরেই নারীদের দেখতে পাচ্ছি। যেহেতু সরকার দিচ্ছে, আমরা তাই আরো আশা করছি।

সমাজকর্মী অ্যারোমা দত্ত বলেন, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আরো শক্তিশালী হতে হবে। এ বছর নির্বাচনের বছর। তাই আমি চাইবো নারীরা ভোট দেবে এবং ভোটে দাঁড়াবে। নারীরা আরও বেশি বেশি সংসদে আসুক, স্থানীয় সরকারে আসুক।

সম্মাননা পাওয়ার পর লুনা সামসুদ্দোহা বলেন, আইটি সেক্টরে অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই স্থানে এসেছি। এখন নারীরা প্রযুক্তিতে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে। দেশের প্রবৃদ্ধি যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, এটা কিন্তু নারীদের ছাড়া হয়নি।

র‌্যাব কর্মকর্তা সাহেদা সুলতানা বলেন, র‌্যাব-৭ এ আমি একমাত্র নারী কর্মকর্তা, অনেক ক্ষেত্রেই অনেক অপারেশনের প্ল্যান আমি নিজে তৈরি করি এবং সফল হই।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, উইমেন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমেদ, লেখক ও সিনিয়ন সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল ও কবি কাজী রোজী।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৯, ২০১৮)