আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০ পাওয়া যাবে বলে এখনও আশার কথা শুনিয়েছেন বিমানটি খোঁজার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। বিমানটির সন্ধানে অভিযান শুরুর পর গণমাধ্যমে পাঠানো প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ আশার কথা বলা হয়েছে।

বর্তমানে যে জাহাজটি নিখোঁজ বিমানটির খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই জাহাজে রয়েছেন মালয়েশিয়ান নেভি অফিসার আজমি রুশদি ও আব্দুল হালিম আহমেদ নর্দিন। ভারত মহাসাগরে তারা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিকূল আবহাওয়া ও ডুবো ভূখণ্ডের কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে তারা নিউ স্ট্রেট টাইমসকে জানিয়েছেন। তবে তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছন।

নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান নতুন করে শুরু করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওশেন ইনফিনিটিকে নিয়োগ দেয় মালয়েশিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় ৩ বছর কাজ চলার পর ২০১৭ সালে এসে প্রধম দফার অভিযান স্থগিত করা হয়।

নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর ৪৩ দিন কেটে গেলেও এখনও কোনো কিছুরই সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রুশদি ও নর্দিন বলছেন, আমাদের খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকলেও আমাদের অভিযান চলছে। তবে এতে আমাদের কাজটি কঠিন হচ্ছে, সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া এখানকার সমুদ্র তলদেশ পাহাড়ী এবং অমসৃণ। যার কারণে এইউভি ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।

নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফার এই অভিযান শুরু আগে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। তিন বছর অনুসন্ধান চালানোর পর অনুসন্ধানের দ্বিতীয় স্থান হিসেবে প্রথম এই অঞ্চলের কথা বলেছিল অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো। ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার চার বছর পূর্ণ হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন যেখানে বিমানটির অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে সেখানে বিমানটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮৫ শতাংশ।

এখানেও বিমানটির কোনো সন্ধান না পাওয়া গেলে ওশেন ইনফিনিটি তাদের অনুসন্ধান ক্ষেত্র ৪৮ হাজার বর্গকিলোমিটারে বিস্তৃত করবে। মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে বিমানটির খোঁজ দেয়ার আশ্বাসে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিমানটির খোঁজ না মিললে কোনো টাকাও দেবে না মালয়েশিয়া সরকার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৯, ২০১৮)