রাবি প্রতিনিধি : প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ওবায়দুল হক কায়েস নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

কায়েস ও ওই ছাত্রীর কয়েকজন বন্ধু জানান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কায়েসের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ওই ছাত্রী কিছুদিন আগে কায়েসের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা জানায়। কিন্তু কায়েস সম্পর্ক রাখার জন্য তাকে জোর করে আসছিল।

এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে কায়েস ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে।

মারধরে ওই ছাত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। পরে ওই ছাত্রী বিভাগের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল হক কায়েস বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ওএস/এস/জুলাই ০৮, ২০১৪)