সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান  উপজেলায় রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া শ্রীশ্রী গৌড় নিতাই মন্দির মন্দিরে শেষ হলো বিশ্বের সকল জীবের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বার্ষিক ৫৬ প্রহর নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও উৎসব। 

শুক্রবার সমাপনী দিনে আখড়া চত্বরে ছিল গ্রামীণ মেলাসহ নানা আয়োজন। ৫৬ প্রহর নামযজ্ঞানুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্যে ছিল গীতা পাঠ, মহানামযজ্ঞের অধিবাস, তারকব্রহ্ম নামসংকীর্তন, রাধাগোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন, কুঞ্জভঙ্গ, মহন্তের ভোগরাগ ও অপরাহ্নে প্রসাদ বিতরণ।

নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও উৎসবের দিন প্রায় ৫ হাজার ভক্ত মহাপ্রসাদ আস্বাদন করেন। অনুষ্ঠানে শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখাণ পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি গোবিন্দ দাস পোদ্দার, সিরাজদিখাণ পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়হরি মল্লিক, সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজদিখাণ পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত দাস রনক. ডাঃ প্রবীর সরকার,ডাঃ দেবব্রত ঘোষ সমীর, ডাঃ দেবাশীষ ঘোষ তপু, এ্যাডভোকেট সমরেশ নাথ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

নামযজ্ঞানুষ্ঠান কমিটির সাধারণ সম্পাদক যাদব চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবারের নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সম্প্রীতি বৃদ্ধি আর হিংসা দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জসহ সিরাজদিখান উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সব ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ-যুব ও শিশুরা অংশ নিয়ে আন্দোলিত করে মাতিয়েছেন এলাকাকে।

অনুষ্ঠানের অর্থ সম্পাদক ডাঃ দেবব্রত ঘোষ সমীর বলেন, ৪৫ বছর যাবৎ সন্তোষপারাতে মহানাম সংকীর্ত্তন হচ্ছে। কৃষ্ণকৃপায় আমাদের কোন সমস্য হয়নি। সার্বজনীন সন্তোষপাড়া শ্রীশ্রী গৌড় নিতাই মন্দির প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মপ্রান ভক্ততের মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সাতদিন অনুষ্ঠানে সারে আাট লাখ ঠাকা খরচ হয়। সম্পূর্ণ্য টাকা ভক্ততের অনুদান মাধ্যমে আসে। আমাদের নিজস্ব কোন ফান্ড নেই। আমাদের গ্রাম ও এলাকার সকল পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

অনুষ্ঠানে এসে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ধর্ম যার যার রাস্ট্র সবার। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম প্রাণ। এখানে সৌহার্দ সম্প্রীতি রয়েছে। প্রেম ও প্রার্থনার কাছে বাংরাদেশের মানুষ কতটা নিবেদিত, এই সন্তোষপাড়ায় এসে বুঝা যায়। তা নিয়ে গল্প ও গর্ব করার অনেক কিছুই আছে।

(এসআর/এসপি/মার্চ ০৯, ২০১৮)