নোয়াখালী প্রতিনিধি : ফেনী, লক্ষ্মীপুর চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাকে সাথে নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নোয়াখালীর একাধিক সংগঠন।

রবিবার (১১মার্চ) সকালে নোয়াখালী জেলা শহরের টাউন হল মোড় সড়কে নোয়াখালী বিভাগ অনলাইন গ্রুপ আয়োজিত মানববন্ধনে জেলার একাধিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিœ শাহীন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওমর ফারুক, এড. এমদাদুল হক কৌশর, নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টের জিপি কাজী মানসুরুল হক খসরু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কায়সার হামিদ রকি, অন্যানদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী অনলাইন গ্রুপের এডমিন মোরশেদ হোসেন, জাহিদ হাসান, সাইফুর রহমান, চ্যানেল্ এস নোয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক ্ইমাম উদ্দিন সুমন, ফারদিন ফরহাদ, এ.আর. বিশ্বাস, মাহবুব ভূইয়া, আরেফিন যোবায়ের, শাহদাত শাকিল। মানববন্ধন সার্বিক সহযোগিতা করেন, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ, ফেন্ডস পাওয়ার গ্রুপ (এফপিবি), সবুজ বাংলাদেশ, নোয়াখালী ব্রাইটার্স টিম।

মানববন্ধনে বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ছয় জেলার মানুষের সংস্কৃতি, কৃষি ও যাতায়াত সুবিধা বিবেচনা করে নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠা করলে অত্র অঞ্চলের প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের চাকুরী, ব্যবসা- বাণিজ্য, প্রশাসনিক কার্যক্রম অত্যন্ত দ্রততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। আর এই ছয় জেলার মানুষের আঞ্চলিক ভাষা, কৃষ্টি-কালচারও প্রায় একই রকম বিধায় নোয়াখালী বিভাগ গঠন অত্যন্ত যুক্তিসংগত বলে অত্র অঞ্চলের বিজ্ঞজনেরা মনে করেন। এছাড়া, নোয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে নিঝুমদ্বীপ, স্বর্ণদ্বীপসহ প্রায় দশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের চাইতেও বেশি নতুন ভূমি নোয়াখালীর বুকে জেগে উঠছে যা বাংলাদেশের জন্য এক অফুরন্ত সম্ভবনা নিয়ে আসছে বলে এখানকার সুধীজন মনে করেন।

আর এতে নোয়াখালী বিভাগ গঠিত হলে এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ। নোয়াখালীর ভাষাগত বৈশিষ্ট যার সীমানা বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল ছাড়িয়ে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকার লোকজন নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।

এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রহুল আমিন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পীকার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মালেক উকিলসহ অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নিজ কর্মে কীর্তিমান। নোয়াখালীর রয়েছে অনন্য ভাষাগত বৈশিষ্ট যার সীমানা বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল ছাড়িয়ে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকার লোকজন নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।

তাছাড়া, নোয়াখালী জেলার সাথে বাকি পাঁচ জেলা অর্থাৎ ফেনী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমূহের সাথে সড়ক ও রেলপথে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে বিধায় ব্রিটিশ আমল হতে রয়েল জেলা নামে খ্যাত নোয়াখালীকে বিভাগ গঠন অত্যান্ত যুক্তিসংগত দাবি । নোয়াখালীর দক্ষিণে রয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যমন্ডিত দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ ও সাগরকন্যা হাতিয়া দ্বীপ। আর তাই নোয়াখালীকে বিভাগ করা হলে অত্র উপকূলীয় অঞ্চল কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে বলে’’।

নোয়াখালী বিভাগ গঠনের নানা যুক্তি তুলে ধরে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করে নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।


(আইইউএস/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৮)