সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোসাঃ রাজিয়া বেগম (৫৫) স্বামী: মোঃ ইউসুব আলী ফরাজী (৭৫) । রাজিয়া বেগম এর স্বামী অসুস্থ্য অসহায় থাকা রাজিয়া বেগম তার স্বামীর চিকিৎসা জন্য গলাচিপা পটুয়াখালী ডাক্তার দেখালেও একটুকু স্বামীকে দার করে সংসারের হাল ধরলেন অসহায় রাজিয়া বেগম।

রাজিয়া বেগমের দুই ছেলে দুই মেয়ে থাকা স্বত্তেও বড় ছেলে মোঃ সহিদুল ফরাজী সংসার অভাব অনটন এর কারনে সংসারের দায় ভার তার মাতার উপর চাপিয়ে দিয়ে অসহায় মা বাবাকে ফেলে সহিদুল ঢাকা চলে যান। তার তিন সন্তান নিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করেও জীবন জিবিকা নির্বাহ করেন রাজিয়া বেগম।

স্বামীর থাকা একটুকু জমি বিক্রয় করে। বদরপুর ০২নং ওয়ার্ডের বাসষ্টান্ট এর পশ্চিম পার্শ্বে একটুকু জায়গা কিনে “চা” এর দোকান করেন।

রাজিয়া বেগম প্রতিবেদককে জানান যে, আমার এই জায়গাটুকু উপরে আমি একটি দোকান ঘর নির্মান করে আমার থাকা ও দোকান করে আমি ও আমার সন্তানদের নিয়ে একটু মাথা গোজার মত জায়গা করেছি। তাও স্বার্থ নিশি কু-চক্র মহলের খপ্পরে পরে নাকি সেটু হারাই। বিগত ৭/৮ বছগ আগে ঘরটি তুলেছি। এখন ঘরটি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরছে। বিভিন্ন সাংসারিক অভাব অনটন এর করনে ঘরটি কে যে মেরামত করব তো দুরের কথা দু-মুঠো খেয়েই বাঁচতে পারছিনা। এমনাবস্থায় আমি কি করব কোথায় যাব কে আমাকে সাহায্য করবে।

তিনি আরো বলেন, গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে গেলে তিনি বলেন যে, আমি একট ব্যস্ত আছি পরে এসো।

গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিয়টি আমি সুনেছি আসলেই রাজিয়া অসহায় ব্যক্তি। দেখি তার জন্য কি করা যায়।

এ ব্যপারে ০২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মনির হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, দেখেছি ও জানি যে রাজিয়া বেগম আসলেই অসহায় ব্যক্তি। চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করেছি সে আশ্বাস দিয়েছে বিষয়টি দেখবে।

(এসডি/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৮)