স্টাফ রিপোর্টার : আগের তুলনায় দেশে বাল্যবিবাহের সংখ্যা কমেছে বলে দাবি করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ দাবি করেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫ সালের মাল্টিপল ক্লাস্টার সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের পরিমাণ কমেছে। এই জরিপে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে দেশে বাল্যবিবাহের সংখ্যা ছিল ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিআইডিএসের ২০১৭ সালের জরিপে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বাল্যবিবাহের সংখ্যা ৪৭ শতাংশ (১৮ বছরের নিচে)। অন্যদিকে ১৫ বছরের নিচে বিয়ের সংখ্যা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।’

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের পরিমাণ কমেছে। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে দেশে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে। একটি পত্রিকা বাল্যবিয়ের হার ৫২ থেকে ৫৯ শতাংশ হয়েছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা সত্য নয় বলেও দাবি করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকার মনে করে বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম অন্তরায় এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে গার্ল সামিটে ঘোষণা করে এসেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৫ বছরের নিচে বিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনসহ প্রশাসনের সব স্তরে বাল্যবিবাহের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। সার্বিক নারী উন্নয়ন সূচকে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪তম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের মতো বিশ্বের কোন দেশ নারী উন্নয়নে এতটা এগোতে পারেনি।

৭ মার্চ রাজধানীর বাংলামোটরে একজন নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে মেহের আফরোজ বলেন, নারী দিবসের আগে এ রকম একটি ঘটনা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। আশা করছি প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৮)