রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৫নং বাচোর ইউনিয়ন এর ৫নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সফিউলল্লাহ বিরুদ্বে ঐ ইউনিয়নের বাজেবকসা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলজিইডি রাস্তার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাছ কাটা হয়েছে গত ৪ মার্চ বলে স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়।

তবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠার পরের দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহার নির্দেশে তাৎক্ষনিক তদন্ত গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রির্পোট প্রদান করেন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ফজলে আলম। সেখানে গাছ কেটে নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি রির্পোট প্রদান করেন বলে একটি সুত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়।

রির্পোটের পেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ঐ ইউপির চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র নাথের সুপারিশে বিশাল অংকের দামের গাছটি মাত্র সাতশত টাকা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে জমা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশেই গাছের একটি বৃহৎ মুড়া(গোড়া) রয়েছে। মুড়া দেখে মনে হয় গাছটি অনেক বড় মাপের গাছ হবে।

পাশেই সেরকম আরেকটি বড় ও বহু পুরনো আম গাছ দেখিয়ে নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক একজন বলেন কেটে নেওয়া গাছটি ঠিক এমনি বিশাল মাপের ছিলো।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,বহু পুরনো এই আম গাছটি কাঠ ব্যবসায়ী রফিক গ্রাম পুলিশ ও মেম্বারের নিদের্শে কেটে নিয়েছেন । তারা অভিযোগ করে বলেন,স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ কিসের ক্ষমতা বলে এ গাছটি কাটলো আমরা বুঝলাম না। গাছের কোন টেন্ডার হলো না গাছ কাটা হয়ে গেল কী করে জানতে চাই আমরা?

এদিকে উপজেলা বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, বাচোর ইউনিয়নে গাছ কাটা হয়েছে আমরা জানি না। আমাদের মাধ্যমে কোন প্রক্রিয়া করা হয় নি। বহু পুরনো গাছ কাটতে হলে নিয়ম মেনে কাটার কথা।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক বলেন, সাংবাদিকরা কি পাইছেন আমি গাছ কাটছি আপনাদের কি? আমি বুঝবো আর প্রশাসন বুঝবে।

গ্রাম পুলিশ সফিউল্লাহ বলেন, গাছটির ডাল পালা যখন তখন ভেঙ্গে পড়ে আশ পাশের মানুষের ক্ষতিসাধন হওয়ায় আমি চেয়ারম্যানের নজরে দিয়ে গাছটি কেটে নিয়েছি।

বাচোর ইউপির চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র নাথের সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহা মুঠোফোনে বলেন, গাছটি আমার দপ্তরের না আপনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেন।

আপনি তাহলে ইউপি ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে সাতশত টাকা নিলেন কেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাহলে আমি ঐ টাকা পকেট থেকে ফেরত দিয়ে দিবো।


(কেএএস/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৮)