স্টাফ রিপোর্টার : নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটির ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানকে বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকরা।

নেপালের একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার মারা যান আবিদ। সোমবার বিধ্বস্ত বিমান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নেপালের নরভিক হাসপাতালে হাসপাতালে নেয়া হয়।

নেপালে বাংলাদেশে দূতাবাস এবং পরে ঢাকায় ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বারিধারায় ইউএসবাংলার করপোরেট কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাপ্টেন আবিদ তিনি বেঁচে ছিলেন। কিছুক্ষণ আগে আমরা জানতে পেরেছি, তিনি কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন।’ গতকাল দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটির কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ নিহত হন।

সোমবার ১২ মার্চ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পার্বত্য শহর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়।

ঢাকা থেকে যাওয়া ৭৮ আসনের উড়োজাহাজটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ আরোহী ছিলেন। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল পুলিশ দপ্তর। উদ্ধার করা হয় ১৯ আরোহীকে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এই ফ্লাইটটিতে বাংলাদেশের মোট ৩২ জন যাত্রী এবং চার জন ক্রু ছিলেন। দুই পাইলটের পাশাপাশি শারমীন আক্তার নাবিলা এবং তার সহকর্মীরও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ।

এই ফ্লাইটটিতে মোট ৩২ জন বাংলাদেশি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, যে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন ১৪ জন।

এদের মধ্যে আবিদ সুলতান মারা যাওয়ায় এখনও ১৩ জন বেঁচে আছেন। তবে কারা মারা গেছেন এবং কারা বেঁচে আছেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৮)