জে জাহেদ, চট্টগ্রাম : গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, সুচিন্তা বাংলাদেশ এর  চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সমন্বয়ক ডঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সি আর মামলা ২৫৮/২০১৬ ( পাচলাইশ থানা) স্থগিত করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। 

ড. সজীবের মালিকানাধীন কিংস্টন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি এই প্রতিষ্ঠানটি সুইজারল্যান্ড এর ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির দ্বারা স্টুডেন্ট ভর্তির জন্য অনুমোদিত ।

ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি সুইজারল্যান্ড এর সাথে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিলের চুক্তি আছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয় এবং সব পরিক্ষার খাতা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে সরাসরি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে চলে যায়।

সেখান থেকে যারা উত্তীর্ণ হয় ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি তাদের সার্টিফিকেট ইস্যু করে। যে সার্টিফিকেট গুলি কিংস্টন ইন্সিটিউট এর মাধ্যমে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ইতিমধ্যে অনেক স্টুডেন্ট কিংস্টনের মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি সুইজারল্যান্ড এর বি বি এ প্রোগ্রাম সুসম্পন্ন করেছে এবং ইতিমধ্যে তাদের অনেকে বিভিন্ন সরকারী / বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম বি এ প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে।

পাশ করা স্টুডেন্ট এর মধ্যে জনৈক মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া পাশ করার পর কিংস্টন এর এডমিনিস্ট্রেশন এ চাকরি শুরু করে। চাকরির এক পর্যায়ে কিংস্টমে পার্টনার বা মালিকানায় শেয়ার থাকতে ইচ্ছা প্রকাশ করতে থাকে। পরে ডঃ সজীব তা করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই স্টুডেন্ট তাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছেনা দাবী করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি বিদ্বেষমূলক সি আর মামলা দায়ের করে।

পরর্বতিতে পুলিশ তদন্ত এবং ইউজিসির ভুল সেকশন থেকে আসা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ২৫/৫/২০১৭ ডঃ সজীব এর জামিন বাতিল করেন যদিও একই আদালত ১/৬/২০১৭ তারিখে ডঃ সজীবকে জামিনে মুক্তি দেন।

এমতাবস্থায় ২৬/২/২০১৮ তারিখে ডঃ সজিব মহামান্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন এবং তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান মামলা স্থগিতের আবেদন জানান। মামলার নথি পর্যালোচনা করে এবং সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মহামান্য উচ্চ আদালত মামলাটি স্থগিত করেন।

মামলা রায় প্রসঙ্গে ডঃ সজিব বলেন -মামলাটি ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইউ জি সির নীতিমালা অনুসরন করার পরেও ছেলেটি বকেয়া ফিস না দিয়ে সার্টিফিকেট পেতে এবং আমার প্রতিষ্ঠানে মালিকানা দাবী করলে তাকে অপারাগতা প্রকাশ করি।

যে কারনে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করতে চেয়েছিল। আমি ধারনা করছি কক্সবাজার ১ আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গনসংযোগ শুরু করায় আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলেটিকে ব্যাবহার করে এবং তাকে দিয়ে বিভিন্ন ভুয়া মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী অব্যাহত রাখে।
ডঃ সজীবের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এবং এডঃ রমজান আলি সিকদার।

ব্যারিস্টার রেজা মামলার রায় সম্পর্কে বলেন -ডঃ সজীবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যে মামলা করা হয়েছিল সে মামলাটি যে আকারে এবং প্রকারে করা হয়েছিল তা আইনগত ভাবে সঠিক নয়।

এই বিষয়ে ডঃ সজিব যখন উচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হন তখন মাননীয় হাইকোর্ট এর মাননীয় বিচারপতি জনাব এনায়েতুর রহিম এবং জনাব শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলার নথি এবং আইনগত অবস্থা বিবেচনা সাপেক্ষে ড: সজীবের বিরুদ্ধে চলমান সি এর মামলাটির উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

(জেজে/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৮)