স্টাফ রিপোর্টার : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশি যাত্রী, ক্রু, পাইলটসহ ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। বাকি ১০ জন নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার বিকেলে ইউএস-বাংলার বারিধারা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি, যত দ্রুত সম্ভব সেখানকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ দেশে এনে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। আর সেখানে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচসহ অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জারের প্রতিটি ফ্যামিলির সঙ্গে যুক্ত আছে।’

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ৪৬ জনকে আমরা সকালে কাঠমান্ডু পাঠিয়েছি। তাদের সেবা দেয়ার জন্য আত্মীয়-স্বজনরা যতদিন সেখানে থাকতে হয় যাবতীয় খরচ বহন করবে ইউএস-বাংলা।

উল্লেখ্য, সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহীবাহী বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ বাংলাদেশি

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নরভিক হাসপাতালে আলী ইয়াকুব, ওএম হাসপাতালে হক এমডি রেজুয়ানুল, কেটিএম-এমসিএইচ হাসপাতালে হাসি এমরানা কবির, আহমেদ শাহরিন, রুবায়েত শেখ রাশিদ, অ্যানি আলমুন নাহার, স্বর্ণা সায়েদা কামরুননাহার, হোসাইন এমডি কবির, ব্যাপারী এম শাহীন চিকিৎসাধীন আছেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৮)