স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে বস্তিবাসীদের আবাসনের জন্য তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকায় সরকারের একটি প্রকল্প চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মিরপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদেরকে সরকার ঘরবাড়ি তৈরি করে দেবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি পরিদর্শনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সোমবার ভোরে মিরপুর-১২ এর হারুনাবাদে এখলাস মোল্লা পরিবার ও ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের জায়গায় গড়ে ওঠা তিনটি বস্তিতে আগুনে তিন হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। বেশির ভাগ বস্তিবাসীই ঘরের কোনো জিনিস বের করতে পারেননি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার নির্মাণাধীন মোল্লা মার্কেটে বস্তিবাসীদের আপাতত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। পাশাপাশি সহায়তা মিলছে সরকারের পক্ষ থেকেও।

কাদের বলেন, ‘তাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। আমি ত্রাণমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের (ক্ষতিগ্রস্ত) জন্য ১০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সঙ্গে দশ লক্ষ টাকা।’

‘ঢাকার ডিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাদের ঘড়বাড়ি পুড়ে গেছে তাদের তালিকা যত দ্রুত তৈরি করতে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বস্তিবাসীদের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে সরকারের চিন্তা তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা সরকার হাতে নিয়েছে। বাউনিয়ায় বিরাট এলাকা জুড়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’

নানা সময় বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার অভিযোগ উঠে। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায়ই দাবি করে থাকেন, তাদেরকে উচ্ছেদ করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্যই আগুন লাগানো হয়ে থাকে।

মিরপুর বস্তিতে আগুন লাগার কারণ জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘কোনো কারণ জানা যায়নি, এই ব্যপারে তদন্ত হচ্ছে। শিগগির কীভাবে আগুন লেগেছে তা বেরিয়ে আসবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, তাদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী বিরাট এলাকা জুড়ে ফ্ল্যাট করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এখানে ২০,০০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে। বাউনিয়ায় এই ফ্ল্যাট তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।'

এ সময় নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান পরিচালনা সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়া নিয়েও কথা বলেন কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার এই ব্যপারে কতটুকু আন্তরিক তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী তার সফর ২৬ ঘণ্টা কাটছাট করে আজ বিকালে ঢাকায় নামছেন। তিনি তার সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন।’

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকার কী উদ্যোগ নেবে-এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘তাদের পরিবার তো টাকার জন্য বসে নেই। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেই ক্ষতিপূরণের বিষয়টা এখানে ইউএস বাংলা আছে। সরকার যদি সেরকম কিছু দেয় সেটা আলাপ আলোচনা করে তারপর হবে।’

‘আপাতত যারা মারা গেছে তাদের দাফন করতে হবে। দাফন কাফনটা হচ্ছে বড়। অসুস্থদের চিকিৎসার বিষয়টা এখন সরকার বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৮)