কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : জিহাদের সারা শরীরে এখন ক্ষত। শরীরে লেগে আছে ছোপ ছোপ
রক্তের দাগ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া জিহাদের আর্তনাদ কেউই থামাতে পারছে না। মা মা বলে তার চিৎকারে স্বজনসহ প্রতিবেশীরা অশ্রুস্বজল চোখে তার কান্না থামানোর চেষ্টা করলেও কিন্তু জিহাদের কান্না থামছেই না।

রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ঘাতক বাস সাকুরা পরিবহনের চাপায় গত মঙ্গলবার মা ও দাদীকে হারায় এই আড়াই বছরের জিহাদ। মায়ের কোলেই ছিল সে।

এ কথা জানালেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অটোচালক ইব্রাহিম। সে জানায়, যখন গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে শিশুটির দাদী ও মাকে চাপা দিচ্ছিল ঠিক সেই মুহুর্তে নিজের জীবন বিসর্জন নিয়ে জিহাদকে কোল থেকে দূরে ছুড়ে দেয় তার মা। মুহুর্তের মধ্যে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে নুরুন্নাহার বেগম ও তার শ্বাশুড়ি। তারা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিশু জিহাদ।

কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোহাম্মদপুর নাম স্থানে মঙ্গলবার বিকালে কুয়াকাটাগামী সাকুরা পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় নুরুন্নাহার ও তার শ্বাশুড়ী বিউটি বেগম। দুর্ঘটনায় আহত হয় মিশু জিহাদ।

শিশুটির পিতা মো. শামিম জানায়, এখন কে দেখবে এই জিহাদকে। কে তাকে লালন পালন করবে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও তার কপালে গুরুতর জখম হওয়ায় এখন দরকার উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু পারিবারিক অস্বচ্ছলতায় সে চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই এই পরিবারের।

স্থানীয়রা জানান, মা নুরুন্নাহার বেগম নিজের মৃত্যু যেনেও সন্তানকে বাঁচিয়ে গেছেন। এখন এই শিশুটির
পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও শিশুটির উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু কে নিবে তার দায়িত্ব।

(এমকেআর/এসপি/মার্চ ১৪, ২০১৮)