গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষকে। দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি অন্যের ভূমি দখল করে দোকান নির্মান করে একদিন পরই সেই দোকান নিজে ও তার দলবল দিয়ে ভেঙ্গে প্রকৃত জমির মালিককে আদালতে ভাংচুর ও লুটের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে স্থানীয় শত শত লোকের অভিযোগ। 

দোকান ভাংচুর ও লুটের ঘটনায় গলাচিপা আদালতে মহিলাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গলাচিপা অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুমার খালী বাজারের হাসেম আলী সিকদার ও কাজেম আলী সিকদারের নামে তিন একর রেকর্ডীয় সম্পত্তি রয়েছে। যার ১৫৭ নং এসএ খতিয়ানে দাগ নং ৪৫৮৯, ৪৫৪৮, ৪৬০১ ও ৪৬০৩ রয়েছে। তাদের বংশীয় উত্তরাধিকার হিসেবে বাদশা সিকদারগংরা ভোগ দখলে আছে। একই এলাকার হায়দর আলী খানের পুত্র মো: দেলোয়ার হোসেন খান কুমার খালী বাজারের বাদশা সিকদার গংদের ঐ ভূমির উপর নজর পড়ে। মো: দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত ১২মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি মামলায় বলেন ১১মার্চ ফজরের সময় তার দোকানে

আসামিরা অনধিকার প্রবেশ করে ড্রয়ার ভেঙ্গে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ও ২০পিচ মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অজ্ঞাত নামা কয়েক আসামিগন দোকান ভেঙ্গে ১লক্ষ ২০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। দোকান ভালই চলছি বলে মামলায় উল্লেখ থাকায় সেখানে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় ভিটির উপর মরিচ চাড়া লাগানো আছে। গলাচিপা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: ফকরুল ঢালী জানান, কুমার খালী বাজারে দোকান ভাঙ্গা ও লুটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

তবে বাদী দেলোয়ার হোসেন নিজে বাদশা সিকদার গং দের ভূমি দখল করে শুক্রবার গভীর রাতে দোকান ঘর তোলেন। তা আবার এক দিনের মাথায় রবিবার গভীর রাতে বাদী দলবল নিয়ে নিজেরাই দোকান ভেঙ্গে দেয়। অথচ যাদের জমি তাদেরকেই জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দেন বলে স্থানীয় আলমগীর ঢালী, মোকলেছুর রহমান ও দুলাল গাজী জানান।

কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চকিদার) মো; নুর হোসেন জানান, তিনি দিনে রাতে কুমার খালী বাজারে থাকেন, এখানে দোকান ভাঙ্গা, লুটের কোন ঘটনা ঘটে নাই। বাদী দেলোয়ার হোসেন বাদশাগংদের ভূমিতে দোকান উঠিয়ে বেকাদায় পড়ায় তা আবার নিজেরাই ভেঙ্গে সড়কের পাশে রেখে দেন ।

এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: ইলিয়াস জানান, দোকান ভাংচুর ও টাকা লুট এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে ঘটনা ঘটলে জানতাম।

(এসডি/এসপি/মার্চ ১৪, ২০১৮)