বসন্তের ছোঁয়া

প্রকৃতিকে টান টান উত্তেজনা করতে
বসন্ত সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেয়
মিষ্টভাষী কোকিলকণ্ঠ
শীতকালে কনকনে ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে যে কোকিল বনে গিয়েছিল,
সে আবার ফিরে আসে বসন্তটানে।

বসন্তের যাদুময়ী স্পর্সে গাছ-পালা
নানান রঙে সুশোভিত হয়ে ওঠে,
বনে বনে শোভা পায় নানা বর্নের ফুল।

মিষ্টভাষী কোকিল সূরে সারা দিয়ে
গাছে গাছে নতুন পাতার মেলা চলে,
মুকুলিত হয় আম জাম সহ প্রকৃতির
গাছগুলো।

মুকুলের গন্ধে মৌমাছি ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসে,
চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে এদের গুঞ্জনে।

প্রজাপতি রঙিন পাখা মেলে উড়ে বেড়ায় দক্ষিণা বাতাসে,
মৃদুমন্দ দক্ষিণা বাতাস দেহমনে বুলিয়ে দেয় শান্তির পরশ।

প্রকৃতির সারা দেহে যৌবনের ঢেউ আর ঢেউ,
পৃথিবী নতুন আনন্দে প্রাণখুলে হাসতে থাকে।

দিনে সূর্যের উজ্জল আলো রাতে
চাঁদের স্নিগ্ধ কিরণ পৃথিবীর বুক থেকে শীতের কালিমা দূর করে,
বনে বনে ফোটে শিমুল,অশোক,কৃষ্ণচূরা, পলাশ নানা রঙের বাহারি ফুল।

আনন্দ উদ্দীপনায় দিবানিশি চলে
মিষ্টভাষী কোকিলের সুমধুর গান,
গানের সূরে তাল মিলায়ে কৃষকেরা মনের আনন্দে কাটিয়ে দেয় সারাদিন।
দুষ্ট রাখাল বালকের দল গরু-বাছুর চরাতে চরাতে ক্লান্ত মনে গাছের নিচে বসে বাঁশিতে ভাটিয়ালি সূর দেয়,
কোকিল কন্ঠের তালে তালে বাজতে থাকা নতুন দিগন্তের সূর প্রকৃতিকে ভরে দেয় বাসন্তীপূজায়।