শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৫) ঢাকার একটি মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছে। তিন মাস ধরে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় নিখোঁজ ওই ছাত্রের পরিবার চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নীয়া আলিম মাদরাসা ও এতিমখানায় ৬মাস আগে শহিদুল ইসলামকে হাফেজি পড়ার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত ১২ জানুয়ারি সে নিখোঁজ হয়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এ ব্যপারে কোনো সদোত্তর দিতে পারছেনা। বহু খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এক মাস আগে তার বোন তানিয়া বেগম বাদি হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

নিখোঁজ শহিদুলের মা নাছিমা বেগম জানান, তার ছেলে অত্যন্ত মেধাবী। তাকে প্রথমে ঢাকার অন্য একটি মাদরাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে ফুঁসলিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম তার মাদরাসায় ভর্তি করান। কিন্তু ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি কিছুই জানেনা বলছেন। নাছিমা বেগম ও তার পরিবারের ধারণা, নিখোঁজ হওয়ার পেছনে অধ্যক্ষের হাত রয়েছে। তা না হলে এতোদিনে তাকে খুঁজে পাওয়া যেতো। ছেলেকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা দাবি করেছেন নাছিমা বেগম।

এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলমের কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে বলেন, শহিদুল হেফজ বিভাগের ছাত্র। গত ১২ জানুয়ারি সকালে সে তার বোনের বাসায় যাবার কথা বলে বের হয়। পরবর্তীতে ফিরে না আসায় তার পরিবারকে জাননো হয়েছে।

প্রায় দুই যুগ ধরে আমি এ মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু এধরণের ঘটনা এই প্রথম। আমি কেনো কেউই চায়না তার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে। আমাকে দোষারোপ করাটা তাদের ভুল। মাদরাসার পক্ষ থেকেও তাকে খোঁজা হয়েছে কিন্তু কোনো সন্ধান পাওয়া যানি।

(এমএস/এসপি/মার্চ ১৫, ২০১৮)