সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপার হরিদেবপুর ইউনিয়নের বড় গাবুয়া গ্রামের বাসিন্দা ডালিয়া বেগম (৪১) স্বামী  মোঃ হালিম মেলকার (৫০) তারা পাঁচ সদস্যর পরিবার। বিয়ের পর ডালিয়া বেগম শ্বশুরের সংসারে থাকা কালিন সময়ে তার তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। এক পর্যায়ে তার শ্বশুর,ছেলে ও পুত্র বধুকে ভিন্ন ভাবে থাকা খাওয়ার জন্য বলে। 

এক পর্যায়ে তারা ভিন্ন ভাবে ছোট্র একটি কুড়েঘর নির্মান করে সেখানে স্বামী সন্তান সহ প্রাথমিক ভাবে বসবাস শুরু করে। কিন্তু, সংসার ভিন্ন হওয়ার পর পরই যেন হতাশা এবং রোগব্যধী যেন তার পিছু ছাড়ছে না।

বর্তমানে তার স্বামীর যে আয় তা দিয়ে কোন রকম সংসার চললেও বাড়তি কোন সঞ্চয় জমা করা তার পক্ষে সম্বভ হচ্ছে না। যাহা দিয়ে সে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার খরচ বহন করবে। এক পর্যায়ে তারা দুজনে মিলে ৪৫ শতাংশ জমির উপরে পান চাষ করার কর্মপরিকল্পনা করে বিডিএস গলাচিপা শাখার কর্মী মোঃ আল-মামুন এর পরিচালনধীন মেঘনা মঃ সমিতির সভানেত্রী মোসাঃ রনি বেগম এর মাধ্যমে উক্ত সমিতির সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হন এবং বিডিএস গলচিপা শাখা থেকে ১ম দফায় ২৫০০০/- (পচিশ হাজার ) টাকা ঋন গ্রহন করে নিজ জমির উপর পানের বরজ নির্মান করে সেখানে পান চাষ করে প্রথম বছরেই খরচ বাদ দিয়ে ৫০০০০/-(পঞ্চাশ হাজার ) টাকা লাভ করেন।

২য় বছরে সে ৪১০০০/-(একচল্লিশ হাজার) টাকা ঋন গ্রহন করে পূনরায় আরও দুটি পানের বরজ নির্মান করে মোট তিনটি বরজ দিয়ে বছর শেষে ডালিয়া বেগম এর এখন (৮০০০০-৯০০০০) টাকা লাভ হয়। বর্তমানে তাদের সংসার সুখের সংসার। ডালিয়া দম্পতি এখন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ও প্রতিষ্ঠিত ।

(এসডি/এসপি/মার্চ ১৫, ২০১৮)