মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার প্রধান সড়কসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের পাকা অধিকাংশ সড়ককে ফসল শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যবহার করছে এলাকার কৃষি পরিবার। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

উপজেলা সড়কসহ গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পাকা সড়কেমসুর, গম, ধনিয়া, রাই সরিষাসহ নানা প্রকার রবিশস্য শুকানো ও মাড়াইয়ের জন্য বাড়ির উঠানের মত ব্যবহার করছে এলাকার কৃষক। পর্যাপ্ত রোদ আর রাস্তায় চলাচলরত গাড়ীর চাকায় সহজে ফসল মাড়াই হওয়ায় এদের কাছে বাড়ি সংলগ্ন সড়কই ফসল শুকানো ও মাড়াইয়ের জন্য একমাত্র স্থান।

রাস্তায় ফসল শুকানোর ফলে পথচারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট বড় যানবাহনের। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কারো হাত-পা কেটে যাচ্ছে আবার কারো পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে।এ দূর্ঘটনার শিকার উপজেলার ধোয়াইল গ্রামের জালাল মোল্যা বলেন, গত বছর মাটি ভর্তি টলি উপজেলার বড়রিয়া গ্রাম দিয়ে আশার সময় রাস্তায় শুকাতে দেওয়া ফসলে পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে আমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

মহম্মদপুর বাজারের ইজি বাইক স্টান্ডের নিয়ন্ত্রক আমজাদ হোসেন মোল্যা জানান, উপজেলার অধিকাংশ রাস্তায় ফসল শুকাতে দিয়ে পথচারীদের দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে এক শ্রেনির মানুষ।

তিনি আরো বলেন, গাড়ীর চাকায় ফসল পেচিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ী এবং আহত হচ্ছে যাত্রী। এ অবস্থার প্রতিকারের জন্য তিনি সড়ক ও পরিবহন কতৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

প্রতিবেদককে মহম্মদপুর থানার ওসি মোঃ তরীকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইতি পুর্বে মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের উপর ফসল শুকানো বন্ধ হয়নি। তবে বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, রাস্তার উপরে ফসল শুকানোর জন্য প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা দুঃখজনক। তবে জনগণের কথা চিন্তা করে স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার উপর ফসল শুকানো দ্রুত বন্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ডিসি/এসপি/মার্চ ১৬, ২০১৮)