চাঁদপুর প্রতিনিধি : হাজীগঞ্জ পৌরসভার অব্যবস্থপনার কারণে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজার অংশে খানাখন্দের সংস্কার কাজ স্থায়ীভাবে করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সওজ চাঁদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ শাহরুল আমিন।

তিনি জানান, পৌরসভার ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনার কারণে ড্রেনের পানি উপচে সড়কে উঠে এবং তার সাথে বৃষ্টির পানি জমে সড়কের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। তবে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আঃ মান্নান খান সওজ কর্তৃপক্ষের এ দাবি প্রত্যাখান করেছেন।
গেলো ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজার অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। পৌরসভার নির্মিত ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে হাজীগঞ্জ বাজার পানিতে সয়লাব হয়ে যায় এবং এই পানি বাজারের প্রধান সড়কে বেশ ক’দিন জমে থাকে। আর এই পানির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বর্তমানে বাজারের উপর দিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সওজের হাজীগঞ্জ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের চাঁদপুর জেলার অংশে সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আর এ চলমান কাজের মধ্যে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকাও রয়েছে। কিন্তু হাজীগঞ্জ পৌরসভা তাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেরামত না করা পর্যন্ত সড়ক বিভাগ বাজারের এই অংশে কাজ করবে না।
সড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, আমরা অনেক টাকা খরচ করে বাজার অংশে স্থায়ী কাজ করবো কিন্তু বৃষ্টি হলে আবারো এ অংশ নষ্ট হয়ে যাবে, তাই পৌরসভা তাদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে না করলে আমরাও এ অংশে স্থায়ী কাজ করছি না।
সওজ চাঁদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ শাহরুল আমিন জানান, আমরা হাজীগঞ্জ পৌরসভাকে অনেকবার বলেছি সড়কের পানি নামার ব্যবস্থা রাখতে। কিন্তু মেয়র তাতে কর্ণপাত করেননি। পৌরসভার ড্রেনের পানি জমে আমাদের সড়কের এ করুণ অবস্থা হয়েছে। আরেক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা হাজীগঞ্জ বাজারস্থ গর্তের অংশে নিয়মিত রুটিনের অংশ হিসেবে ইট-সুড়কি দিয়ে কাজ করে দেব। কিন্তু স্থায়ী কাজ করা হবে না। হাজীগঞ্জ পৌরসভা যতদিনে তাদের ড্রেনের পানি নামার ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে সমাধান না করবে ততদিন আমরা বাজারের এই অংশে স্থায়ী কাজ করবো না। আর মেয়র এ সকল কাজে বেশি দেরি করলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা এগুবো।
হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ. মান্নান খান এ বিষয়ে বলেন, সড়ক হচ্ছে সওজের। তাদের সড়কের কাজ তারা করবে, সড়কের পাশে পানি জমলে তা নিষ্কাশনের দায়িত্ব সওজের, আমাদের না। বরং সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে কাজ করা হয়েছে। আরেক প্রশ্নে পৌর মেয়র বলেন, ড্রেনের পাশে মাটি জমে পানি আটকে থাকে, আর এজন্য সওজ দায়ী। কারণ সওজের সড়কের পাশের মাটি সওজ সরানোর কথা। আমরা শুধুমাত্র পৌরবাসীর সুবিধার্থে মাটি সরিয়ে থাকি।
(এমজে/এএস/জুলাই ০৮, ২০১৪)