ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষক মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা যায়, দোলারবাজার ইউপির মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিনামুল্যের পাঠ্যপুস্তক বিক্রি, কোচিং বানিজ্য, স্লিপের টাকা আত্মসাত, সমাপনী পরিক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রশংসাপত্র প্রদান করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ও জাতিয় শিক্ষা মেলা ২০১৮ইং উপলক্ষে ৩শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে প্রায় ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ১১ ও ১২মার্চ অনুষ্ঠিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা মেলা সফলের লক্ষ্যে এসব টাকা আদায় করা হয়। সুনামগঞ্জে জাতিয় শিক্ষা মেলায় ১১টি উপজেলা অংশ গ্রহণ করে।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহণের জন্যে মঈনপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন আক্তার তার অধিনস্থ ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ টাকা আদায় করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষা মেলায় যাবার জন্যে শিরিন আক্তার প্রত্যেক স্কুলের শিক্ষক প্রতি ৫শ’ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষিকার কাছ থেকে কালার শাড়ির জন্যে অতিরিক্ত ৫শ’ ৪০টাকা আদায় করা হয়।

এ ব্যাপারে শিরিন আক্তার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা টাকা আদায় করেছে এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস জানান, সরকারি বাজেট থাকার পরও টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষা অফিস। তবে জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ ও চেচান বিদ্যালয় সরকারি আদেশ অমান্য করে শিক্ষা মেলায় যোগ দেয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চান্নবালা দাস জানান, টাকা নেয়ার কথা নয়। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

(সিএম/এসপি/মার্চ ১৮, ২০১৮)